Students

  Teachers

  Staffs

 

সামদ্রিক ঝিনুকের খোসা থেকে ন্যানো প্রযুক্তি উদ্ভাবনে বাংলাদেশী বিজ্ঞানী





ন্যানো প্রযুক্তি (Nanotechnology) : একটি অত্যাধুনিক নবীন প্রযুক্তি। ন্যানোমিটার থেকে ন্যানো প্রযুক্তির উৎপত্তি। ন্যানোমিটার হলো একটি বস্তু কনার আকার-আকৃতি। বস্তুর মধ্যে এর অস্তিত্ব বিদ্যমান। ন্যানো প্রযুক্তির মাধ্যমে বস্তুকনা থেকে ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র বস্তু কনা আবিষ্কার করা যায়। এক মিটারকে ১০০ কোটি দিয়ে ভাগ করলে বস্তুটির যে আকার বা সাইজ পাওয়া যায় তাহাই ন্যানোমিটার। বস্তু কনা যত ছোট হবে তার প্রবেশাধিকার এবং কর্মক্ষমতা তত বেড়ে যাবে। কোন বস্তু কনা দেহ কোষের প্রাচীর ভেদ করতে পারে না। পক্ষান্তরে ন্যানো বস্তু কনা শরীরের দেহ কোষের প্রাচীর ভেদ করে প্রবেশ করতে পারে। ১ ন্যানোমটিার হলো একটি চুলের ব্যাসের ১০০০ ভাগের এক ভাগ। অধ্যাপক ড. খ. নূরুল ইসলাম তাহার ডক্টরেট ডিগ্রী করার সময় সামুদ্রিক ঝিনুকের খোসা থেকে ২০-৪০ ন্যানোমিটার সাইজের ক্যালসিয়াম কার্বনেট আবিষ্কার করেছেন। তাহার এই প্রযুক্তিটি Patent হয়েছে। ড. খ. নূরুল ইসলাম বর্তমানে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে এনাটমি ও হিস্টোলজি বিভাগে কর্মরত আছেন। তিনি ন্যানো প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

বঙ্গোপসাগরের ঝিনুকের খোসা থেকে গুরুত্বপূর্ণ পদার্থ আবিষ্কার : ড. খ. নূরুল ইসলাম তাহার ডক্টরেট ডিগ্রী করার সময়ে মালেশিয়ার সামুদ্রিক ঝিনুক নিয়ে গবেষণা করে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ক্যালসিয়াম কার্বনেট আবিষ্কার করেছেন। এই ক্যালসিয়াম কার্বনেট পাউডার দ্বারা হাড় জোড়া লাগানোর পেষ্ট তৈরি করেন। এই পাউডার থেকে উনি ন্যানো ক্যালসিয়াম কার্বনেট উৎপন্ন করেন। উনার এই গবেষণার ধারাবাহিকতায় বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী এলাকা থেকে ঝিনুক সংগ্রহ করেন। ঐ ঝিনুকের খোসা থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ক্যালসিয়াম কার্বনেট পাউডার আবিষ্কার করেন। এই ক্যালসিয়াম কার্বনেট পাউডারের একটি পলিমরফ আছে যারা দ্বারা হাড় জোড়া লাগানোর স্ক্যাফোল্ড, পেষ্ট, ড্রাগ ক্যারিয়ার, ড্রাগ ডেলিভারী, হাড়ের ক্যান্সারের ঔষধ তৈরি করা যাবে। অধিকন্তু পোল্ট্রি এবং ডেয়রীর অতি দ্রুত কার্যকর ফিড সাপ্লিমেন্ট তৈরি করা যাবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন। উনি বলেন বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী এলাকাগুলোর ঝিনুকের প্রতি খুবই গুরুত্ব দিতে হবে এবং এই ঝিনুকগুলো বাণিজ্যিকভাবে চাষ করলে দেশ অনেক লাভবান হবে। এজন্য দরকার গবেষণা এবং গবেষণার জন্য আর্থিক সহায়তা। অধ্যাপক ড. খ. নূরুল ইসলাম বাংলাদেশে কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনে একটি প্রকল্প জমা দিয়েছিলেন কিন্তু তাহা মঞ্জুর করা হয় নাই। উনি উনার গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং উনার গবেষণার সার্বিক সহযোগিতার জন্য বিত্তবান এবং সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।