চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশকে অফিসার সমিতির পক্ষ হতে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। ২২ ডিসেম্বর ২০১৬ ইং দুপুরে সমিতির দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ক্রেস্ট দিয়ে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের দুই বছর পূতির্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য তাঁর অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তাঁকে এ সংবর্ধনা দেয়া হলো।
অফিসর সমিতির দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ। সংবর্ধনার জবাবে উপাচার্য বলেন, এটি বাংলাদেশের একটি সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হবে। বর্তমান অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকলে ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় বহুদূর এগিযে যাবে। এ জন্য তিনি শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহযোগিতা কামনা করেন।
সমিতির সভাপতি মো. আবুল কালামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. রিয়াদের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর গৌতম কুমার দেবনাথ, ফুড সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. খন্দকার নুরুল ইসলাম, রেজিস্ট্রার মীর্জা ফারুক ইমাম, প্রধান প্রকৌশলী শাহ মো. জিল্লুর রহমান, লাইব্রেরীয়ান মো. হাবিবুর রহমান, উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) খলিলুর রহমান।
অফিসার সমিতির দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে অর্থ ও হিসাব পরিচালক মো. আবুল কালাম বলেন, বিগত দুই বছরে তিনি এক কথায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অভুতপূর্ব উন্নয়ন সাধন করেছেন। বিশেষ করে কক্সবাজারের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পাঁচ একর জমি বরাদ্দ নিয়ে দেশের প্রথম আউটরিচ ক্যাম্পাস স্থাপন, হাটহাজারীরতে ১০ একর জমি বরাদ্দ নিয়ে রিসার্চ ও ফার্ম বেইজড ক্যাম্পাস স্থাপন, রাজধানীর পূর্বাচলে এক বিঘা জমি বরাদ্দ নিয়ে সেখানে ১৪ তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণের মাধ্যমে পেট এনিম্যাল হসপিটাল স্থাপন, ১৮০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন করিয়ে আনা এবং ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়া তেরেঙ্গানো’র সাথে সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) স্বাক্ষরের মাধ্যমে ফিশারিজ অনুষদ ও ফুড সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি অনুষদের সকল শিক্ষার্থীর এক মাস বিনা খরচে সেখানে ইন্টার্নশীপ করার সুযোগ সৃষ্টি করা, থাইল্যান্ডের Khon Kaen University-এর সাথে সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) স্বাক্ষর করা ইত্যাদি কার্যক্রম তিনি সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন। এছাড়াও ব্যাংক ভবন ও ফিশারিজ অনুষদ ভবন নির্মাণ, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণ, ফিশারিজ অনুষদের রিাসর্চ ভেসেল নির্মাণ ইত্যাদি কার্যক্রম এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রাকে আরও ত্বরান্বিত করেছে।