এন্টিবায়োটিক ব্যবহারে মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যে ২০১৫ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১ম বারের মত এন্টিবায়োটিক সচেতনতা সপ্তাহ পালন করে। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছর ১৪ থেকে ২০ নভেম্বরকে এন্টিবায়োটিক সচেতনতা সপ্তাহ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। যার প্রতিপাদ্য বিষয় হলো- ‘Antibiotic: Handle with care’। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই পদক্ষেপকে সম্মান জানিয়ে এবং জনগণকে এন্টিবায়োটিক ব্যবহারে সচেতন করার লক্ষ্যে গত ১৭ নভেম্বর ২০১৬ চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিওলজি, বায়োকেমিষ্ট্রি এন্ড ফার্মাকোলজি বিভাগ প্রথমবারের মত বিশ্ব এন্টিবায়োটিক সচেতনতা সপ্তাহ উপলক্ষ্যে অর্ধদিবস ব্যাপী এক কর্মসূচী পালন করেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাস। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে- সময়োপযুগী গবেষণার মাধ্যমে Antibiotic এর পরিবর্তে বিভিন্ন organic substance ব্যবহারের প্রতি গুরুত্বারূপ করেন এবং খামারী তথা সবাইকে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার সচেতন হওয়ার আহবান জানান। এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের সম্মানিত ডিন প্রফেসর ড. মো. আহসানুল হক, পরিচালক (গবেষণা ও সম্প্রসারণ) প্রফেসর ড. মোঃ কবিরুল ইসলাম খান এবং চট্টগ্রাম জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ রেয়াজুল হক।অতিথিবৃন্দ সকলে জেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের তত্ত্ববধানে হ্যাচারী ও ফার্মগুলোতে এন্টিবায়োটিক ব্যবহারে বিভিন্ন বিধিমালা প্রয়োগের ব্যাপারে জোড় দেন এবং সকলকে নিরাপদ খাদ্য গ্রহণের জন্য উৎসাহিত করেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে এন্টিবায়োটিকের সতর্কতামূলক ব্যবহার বিষয়ক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ফিজিওলজি, বায়োকেমিষ্ট্রি এন্ড ফার্মাকোলজি বিভাগের সিনিয়র প্রফেসর ড. এ.কে.এম. সাইফুদ্দিন। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন অত্র বিভাগের অধ্যাপক ডাঃ মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন। সকাল ১০.৩০ মিনিটে ‘ভেষজ ঔষধি গাছের সংগ্রহশালা’ উদ্ভোধনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়ে কুইজ প্রতিযোগীতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন অত্র বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রাশেদুল আলম। তিনি তাঁর সমাপনী বক্তব্যে জৈব নিরাপত্তা, জীব কল্যাণ (Animal Welfare), টিকা প্রদান ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে প্রাণী পালনে খামারীদের উদ্বুদ্ধ করে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার কমানোর পরার্মশ দেন।