২৩ ডিসেম্বর ২০২৩ শনিবার চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) ‘Seaweed-based value added food product development from coastal zone of Bangladesh: A holistic approach from production to product development for sustainable value chain management’ শীর্ষক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিভাসু’র ফিশিং ও পোস্ট-হার্ভেস্ট টেকনোলজি বিভাগের উদ্যোগে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
সকাল ৯টায় সিভাসু অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত উক্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এএসএম লুৎফুল আহসান।
ফিশারিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নূরুল আবছার খান-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সিভাসু’র কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো: কামাল, মৎস্য অধিদপ্তরের সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পের পরিচালক মো: জিয়া হায়দার চৌধুরী, ফুড সায়েন্স ও টেকনোলজি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো: আশরাফ আলি বিশ্বাস, ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান এবং পরিচালক (গবেষণা ও সম্প্রসারণ) প্রফেসর ড. এস. কে. এম. আজিজুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মো: মুহিবুল্লাহ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিভাসু’র ফিশিং ও পোস্ট-হার্ভেস্ট টেকনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো: ফয়সাল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিভাসু’র উপাচার্য প্রফেসর ড. এএসএম লুৎফুল আহসান বলেন, সি-উইড বা সামুদ্রিক শৈবাল একটি মূল্যবান সামুদ্রিক সম্পদ। এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব অনেক বেশী। এই সমুদ্রসম্পদকে যথাযথভাবে কাজে লাগানো গেলে-এটি হতে পারে সুনীল অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। সি-উইড চাষাবাদ এবং এর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণে বেশি বেশি গবেষণা করার আহবান জানিয়ে সিভাসু’র উপাচার্য আরও বলেন, এই ধরনের গবেষণায় সিভাসু কর্তৃপক্ষ সবসময় সহযোগিতা করবে।
উল্লেখ্য, ‘Seaweed-based value added food product development from coastal zone of Bangladesh: A holistic approach from production to product development for sustainable value chain management’ শীর্ষক এই প্রকল্পের অধীনে সিভাসু’র একদল গবেষক কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় সি-উইড নিয়ে কাজ করেছেন। তারা- সালসা বিচ এবং মনখালি, ছেপটখালি-নামক স্থানে দুই জাতের সামুদ্রিক শৈবাল (গ্রাসিলারিয়া ও উলবা ইন্টেস্টাইনালিস) চাষ করেন এবং এগুলো থেকে তিন ধরনের খাদ্যসামগ্রী-শুকনো সি উইড, সামুদ্রিক শৈবালের গুঁড়ো ও নোরি সীট বা লেভার শিট-তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। প্রকল্পটিতে অর্থায়ন করেছে-মৎস্য অধিদপ্তরের সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্প।