Students

  Teachers

  Staffs

 

‘সিভাসু রিসার্চ অ্যান্ড টেকনোলজি ফেস্টিভ্যাল ২০২৪’ অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী উৎসবে ২৬টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন





জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ শনিবার চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘সিভাসু রিসার্চ অ্যান্ড টেকনোলজি ফেস্টিভ্যাল ২০২৪’। বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ও সম্প্রসারণ দপ্তরের উদ্যোগে এ ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করা হয়।

দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত উক্ত ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) অর্থায়নে সিভাসু’র গবেষকবৃন্দ কর্তৃক সম্পাদিত গবেষণা কার্যক্রমের মধ্য থেকে মোট ২৬টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়।

সিভাসু অডিটোরিয়ামে সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন ইউজিসি’র সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান। প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিভাসু’র উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিভাসু’র কোষাধ্যক্ষ প্রফেষর ড. মো: কামাল এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো: আতিয়ার রহমান। সভাপতিত্ব করেন সিভাসু’র পরিচালক (গবেষণা ও সম্প্রসারণ) প্রফেসর ড. এস.কে.এম. আজিজুল ইসলাম।

উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রাণিসম্পদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে ইউজিসি’র সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান বলেন, প্রাণিসম্পদ প্রকৃতিরই একটি অংশ। আর প্রাণিসম্পদের সুস্বাস্থ্য নিম্চিত করা মানে জাতীয় অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখা। তিনি আরো বলেন, গত আঠারো বছরে গবেষণা ও প্রযুক্তি খাতে সিভাসু যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে আজকের এই উৎসবটি তারই নিদর্শন। উদ্ভাবন, জ্ঞানসৃষ্টি এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতি সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টিতে এই ধরণের উৎসব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। শিক্ষা ও গবেষণা সম্প্রসারণ কার্যক্রমে ইউজিসি সবসময় সিভাসু’র পাশে থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

প্রধান পৃষ্ঠপোষকের বক্তব্যে সিভাসু’র উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান বলেন, ওয়াইল্ডলাইফ, অ্যাকোয়াটিক এনিম্যালস, পেট এনিম্যালস, নিপা ভাইরাস, ডেঙ্গু, এএমআর (অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স) ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে আরো গবেষণা করার সুযোগ রয়েছে। তিনি সিভাসু’র গবেষকদেরকে ভবিষ্যতে এসব বিষয়গুলো নিয়ে গবেষণা করার আহ্বান জানান। উপাচার্য আরো বলেন, গবেষণার ফলাফল প্রান্তিক মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে কিনা সেটা খেয়াল রাখতে হবে। বাধা বা অন্তরায় থাকলে সেগুলো খতিয়ে দেখতে হবে। গবেষণার ফলাফল ইংরেজির পরিবর্তে বাংলায় লেখলে প্রান্তিক মানুষ বেশী উপকৃত হবেন বলে উপাচার্য আশা প্রকাশ করেন।

টেকনিক্যাল সেশনের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন প্রাঙ্গণে সর্বমোট ২২টি স্টলে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রম প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া, গবেষণা কার্যক্রমের ওপর পোস্টারও প্রদর্শন করা হয়।

বিকেলে সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সেরা গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপক, সেরা স্টল ও সেরা পোস্টার প্রেজেন্টারকে ‍পুরস্কৃত করেন।

ফেস্টিভ্যালে সিভাসু’সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।